সকল নারী ও মেয়েদের জন্য: অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন"।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস: ৮ই মার্চ
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য হলো "সকল নারী ও মেয়েদের জন্য: অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন"।
এই প্রতিপাদ্য নারীদের অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নের গুরুত্বকে তুলে ধরে, যা সমাজের সার্বিক উন্নয়নে অপরিহার্য।
৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যা বিশ্বব্যাপী নারীদের অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নের প্রতীক। এই দিনটি নারীদের সংগ্রাম, অর্জন ও ভবিষ্যতের উন্নতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
নারী দিবসের ইতিহাস:
নারী দিবসের সূত্রপাত ১৯০৮ সালে, যখন নিউ ইয়র্কের নারী শ্রমিকরা তাদের কর্মস্থলে ন্যায্য মজুরি, কাজের সময় কমানো এবং ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন করেন। পরে ১৯১০ সালে ডেনমার্কে অনুষ্ঠিত সমাজতান্ত্রিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জার্মান নেত্রী ক্লারা জেটকিন আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। ১৯১১ সালে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি উদযাপিত হয়। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
নারী দিবসের তাৎপর্য:
১. নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা: এই দিনটি নারীদের সমান অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান এবং স্বাধীনতার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করে।
2. সমাজে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি: নারী শুধু পরিবার নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নারী দিবসে তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
3. লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ: এখনো অনেক দেশে নারীরা বৈষম্যের শিকার। নারী দিবসের মাধ্যমে এই বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানানো হয়।
4. নারী উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব: বিশ্বজুড়ে নারীরা ব্যবসা, রাজনীতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই দিনটি নারীর ক্ষমতায়নকে উৎসাহিত করে।
নারী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য:
প্রতি বছর জাতিসংঘ একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে যা নারী অধিকার ও উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয়।